CONSIDERATIONS TO KNOW ABOUT স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

Considerations To Know About স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

Considerations To Know About স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

Blog Article

দেশাত্মবোধক কবিতা

পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ে আমরা দল বেঁধে মাঠে পৌঁছে গেলাম। আমরা ঠিক করে নিয়েছি আমরা বিবাহিতদের সাপোর্ট করব। কারণ বিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে বড় মামা। আমরা সবাই বড় মামাকে অনেক ভালোবাসি তাছাড়া বড় মামা ফুটবলার হিসেবে টুর্নামেন্ট জিতে অনেক প্রাইজ পেয়েছে। আস্তে আস্তে মাঠে মানুষের ভিড় বাড়তে লাগলো। বড় মামার দলে রয়েছে অন্যান্য মামারা এবং খালুরা। আর মুরাদ ভাইয়ের দলে রয়েছে মামাতো ভাই এবং খালাতো ভাই রা। খেলা শুরুর আগে সবাই এসে আমাদের কাছে দোয়া চেয়ে গেল। ভিড়ের ভিতরে সে এক ফাঁকে সবার অগোচরে এসে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,” দোয়া করো”। আবারো সেই বুকের ভিতর ঢোল, তবলা,  হারমোনিয়াম বেজে উঠলো। তার সাহসে আমি পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে গেলাম।

আম্মু তুমি আমাকে এসব কিছু এতোদিনকেনো বলোনি। এতোদিনকেনো আমার কাছে সব কিছু গোপন রেখেছো। কেনো বলোনি আমি যাকে এতোদিন পাগলের মতো করে খুজে বেরিয়েছি সেই ছেলেটা আরকেউ না সেটা রক্তিম ছিলো। কেনো বলোনি আম্মুকেনো।

আমার আবার বান্ধবী সুমনাকে ছাড়া চলে না, একসাথেই বসেছিলাম আমরা। কিন্তু ম্যাম তাকে ডাকলে সে ম্যামের পাশের সিটে বসেছে। আমার পাশের সীট ফাঁকা পড়ে আছে, কোনো এক আগন্তুকের অপেক্ষায়। আমি বাইরের বাগানটার সৌন্দর্য উপভোগ করছি, আমার ঘোর কাটল তখনই যখন শুনলাম কেউ আমাকে ডাকছে। মাথা ঘুড়িয়ে দেখি, এক সিনিয়র দাদা আমাকে বলছে, সে বসার জায়গা পায়নি। আমার পাশের সীট-তো ফাকাই আছে, আমার যদি কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে সে সেখানে বসতে চায়।  

শোন তুই ভাবলি কি করে তোর মতো গুন্ডার কাছথেকে আমি আমার জন্মদিনে কোনো উপহার নেবো। আর অনেক বলেছিস এখন যদি তুই এই মুহুর্তে এখান থেকে বের হয়ে না যাস তাহলে এবার সত্যি ‘সত্যি আমি নিজেই তোকে ঘাড় ধরে বের করে দেবো বলেদিলাম। সো তোর যদি চক্ষু লজ্জা বলতে কিছু থাকে তাহলে এখনু চলে যা আমার সামনে থেকে।

বাহির বলে দুরে থাকুক…ভিতর বলে আসুক না।

অবশেষে একমাস পড় স্কুল খুলল, স্কুল খোলার পড় আমাদের প্রথম দেখা হবে, ভাবতেই আনন্দে মনটা লাফিয়ে উঠছিল, নিজের অজান্তেই “কতদিন পড়ে সখি দেখিব তোমারে” গানটার সুর ঠোঁটে চলে আসছিল। আমাদের রক্ষণশীল পরিবার। তাই স্কুলের সময় ছাড়া আর অন্যসময় আমি বাইরে বিশেষ কাঁটাতে পাড়িনা। আর আজ সে স্কুলের সামনে আসবে। সেখানেই দেখা হবে।  

আমি বললাম ,”খালা শিউলি ঠিকই বলেছে তুমি দেখে নিও স্বভাব কখনো বদলায় না। এসেই দেখবে সবাইকে বিরক্ত করা শুরু করে দিবে , কাউকে আর শান্তিতে থাকতে দেবেনা ।এই দুটো দিন তো শান্তিতে অসমাপ্ত জীবনের গল্প ছিলাম।”

বলতে কি পার একটু সাহসের অভাবে আজ দুজন নদীর দু পাড়

আরে নাহ, আন্টি তেমন কোনো ব্যাপার না। আসলে আমার একটু জরুরী কাজ পরে গেছে তো তাই ‘তাড়াহুড়ার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ চক্ষে একটা পোকা পড়ে যায়। আর তার জন্যই চক্ষু দিয়ে হালকা পানি পরছে। ওসব কোনো ব্যাপার না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা আন্টি আমি এখন চলি আমার একটু তারাআছে।

ছ্যাঁকা খেয়েছেন সেটা বড়ো কথা না প্রেমে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন সেটাই বড় কথা।

” পিরিতের কৌসল,অহংকারী মাইয়া,মনের ব্যাথা,দহন,স্কুল জীবনের ভালোবাসা, আমার স্বপ্নে দেখা মনটা,দরদের প্রিয়া,ওনিঠুর বন্ধুরে,পুড়াই গেলা মোরে,ধনী গরিবের প্রেম,স্কুল প্রেম,মনটা দিলা অনেক বড়,ইত্যাদি ”শিরোনামের বেশ কিছু গান প্রকাশের মাধ্যমে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনায় এসেছে বর্তমান সময়ের উদীয়মান তরুন অভিনেতা রাজ/হৃদয় !

নানি বললেন ,”কই আমার ডাক্তার ভাই কই ? ডাক তাকে।”

(রক্তিম নিশ্চুপ। সে এখনো বিশ্বাসী করতে পারছে না যে দিশা ওকে জরিয়ে ধরে ভালোবাসি বলছে)

Report this page